ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৫ জানুয়ারি) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে এই মামলা দুটি করেন।

গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। আসামি সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও তার স্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে ৫৭০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন, ৯ লাখ মার্কিন ডলার পাচার এবং প্রায় ৮০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।

এদিন প্রশ্নে ফাঁসে জড়িত পিএসসি’র গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলা করেছে সংস্থাটি। দুদক বলছে, তাপসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে আইনি পদক্ষেপ নিবে তারা।

বেসিক ব্যাংক মামলায় দুদকের নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ তুলে তৎকালীন চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস। সময়ের পথ পরিক্রমায় সেই দুদকের মামলায় ফাঁসলেন শেখ পরিবারের এই সদস্য।

আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী আইনজীবীদের প্রভাবশালী এই নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে প্রায় ৯ লাখ মার্কিন ডলার পাচারের তথ্য। এছাড়া স্ত্রীসহ তাপসের বিরুদ্ধে ব্যাংকে ৫৭০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন ও প্রায় ৮০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ। এঘটনায় রোববার পৃথক দুটি মামলায় করেছে সংস্থাটি।

এদিন প্রশ্নে ফাঁসে গ্রেফতার পিএসসি’র সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, তার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও প্রায় ৪৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন প্রমাণ মিলেছে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তে আরও সম্পদের তথ্য মিললে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।